হাতিয়া উপজেলার ভূ-প্রকৃতি ও ভৌগলিক অবস্থান এই উপজেলার মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে। বঙ্গপসাগরের কূলে বসবাসকারি মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি তাদের প্রতিনিয়ত যাপিত জীবনেরই প্রতিচ্ছবি।প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করেই এ' অঞ্চলের মানুষকে ঠিকে থাকতে হয়। ফলে প্রকৃতির রুক্ষতা এবং দৃঢ়তা এ'অঞ্চলের মানুষের মাঝে দেখা যায়। নোয়াখালীর একটি উপজেলা হলেও এখানকার মানুষের ভাষায় নোয়াখালীর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম। এখানে এক ধরনের মিশ্র ভাষা প্রচলিত। সন্দীপ,শাহবাজপুর(ভোলা),মনপুরা,রামগতি হাতিয়ার আদি বাসিন্দা সবার ভাষা মিলে তৈরী হয়েছে এখানখার মানুষের মুখের ভাষা।
হাতিয়ার অধিকাংশ মানুষের জীবন-যাপন অতি সাধারণ। মেঘনার পলি জমে গঠিত এ'ভু-ভাগে প্রচুর ধান উৎপন্ন হয়। নদীতে কিংবা সাগরে পাওয়া যায় মাছ। ফলে কুটির শিল্প কিংবা অন্য কোন বিকল্প আয়ের উৎস এ অঞ্চলের মানুষের আয়ের প্রধান উৎস হয়ে উঠেনি।চাষাবাদ করেই এবং নদী কিংবা সাগরে মাছ ধরেই বেশীরভাগ মানুষের জীবন চলে।
হাতিয়ায় খুব প্রাচীন কোন নিদর্শনের দেখা পাওয়া যায় না। উল্লেখযোগ্য দর্শণীয় স্থান বলতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত নিঝুম দ্বীপ,কাজীর বাজার ইত্যাদি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস